নিউজ বার্তা । বাংলা নিউজ পেপার ওয়েবসাইট

গফরগাঁওয়ে প্রবেশপত্র পায়নি ১৪ এসএসসি পরীক্ষার্থী

গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার মুখী পল্লীসেবক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থী এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না। শিক্ষকের অবহেলায় এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র না পাওয়ায় তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না।এ ঘটনার জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল হান্নান ও আইসিটি শিক্ষক মো. রেজাউলকে দুষছেন।গত দুই বছর যাবত ওই ১৪ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের সব পাওনা পরিশোধ করলেও ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে তাদের নাম নিবন্ধনই হয়নি।বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে মুখী পল্লীসেবক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৪ জন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা জানতে পারে পরীক্ষার জন্য প্রবেশপত্র আসা দূরের কথা, তাদের ফরম পূরণ হয়নি। বোর্ডে তাদের নাম নিবন্ধন হয়নি।দুই বছর আগে ২০২২ সালে নবম শ্রেণিতে পড়াকালে তারা নিবন্ধন করেছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষের ভুলে তাদের সেই নিবন্ধনও হয়নি। তারা এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না। ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে কিনা, সন্দেহ আছে।মুখী পল্লীসেবক উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. শেখ ফরিদ, মো. মেহেদি হাসান কাঁদতে কাঁদতে জানায়, আমরা বিদ্যালয়ের সব সহপাঠীদের মতো গত দুই বছর ধরে স্কুলের বেতন, সেশন ফি, নিবন্ধন ফি, ফরম পূরণ ফি সবই সব ধরনের ফি পরিশোধ করেছি। তাহলে আমাদের দোষ কোথায়। আমরা পরীক্ষা দিতে পারব না কেন?অভিভাবক মো. আব্দুল জলিল (৪৫), মো. আব্দুর রাজ্জাক (৪২) জানান, আমরা ঘটনা জানার পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি আশ্বাস দেন এই সমস্যা সমাধান করে দেওয়ার। মঙ্গলবার বিকালে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ বছর তাদের পরীক্ষা দেওয়া আর সম্ভব না। সামনেরবার হয়তো সমস্যাগুলো সমাধান করে দেওয়া যাবে।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান বলেন, ২০২৩ ব্যাচের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নবম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশনের সময় ছবি ও নাম এলোমেলো হয়ে যাওয়ায় ১১৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৪ জনের রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) হয়নি। এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, মুখী পল্লীসেবক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৪ জন শিক্ষার্থী চলতি এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র পায়নি এ মর্মে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টির তদন্ত করে দেখা হবে।গফরগাঁও

Exit mobile version